পাটশাকের উপকারীতা





পাটের প্রধান ফসল আঁশ হলেও এর পাতার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। দেশি পাটশাক সামান্য তিতা তবে তোষা বা বগী পাটশাক খেতে বেশ সুস্বাদু। পুষ্টির দিক থেকে দেশী পাটশাক কিছুটা এগিয়ে। ডালের সঙ্গে কচি পাটশাক খেতে দারুণ। এ ছাড়া ভাজি, ছোট মাছ দিয়ে রান্না করেও খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-সির পরিমাণ কম থাকলেও ক্যারোটিন আছে প্রচুর। এর প্রতি ১০০ গ্রামে শর্করা ১২.৬ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.০১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ১১৭০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.১৯ মিলিগ্রাম এবং  খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬২ কিলোক্যালরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দৈনিক ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং শিশুদের জন্য কমপক্ষে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ দরকার, যা পাটশাক হতে অনায়াসেই পেতে পারি।

পাটশাকের আরো কিছু গুন
পাটশাক হজম হতে সহায়তা ও খাবারে রুচি বাড়ায়। বাতের ব্যথায় আক্রান্তদের জন্য পাটশাক উপকারী। এটি রক্ত পরিষ্কার করে।
এছাড়া এটি ডায়াবেটিক ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, অনিদ্রা ও মানসিক চাপ দূর করে শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পাটশাকে বিদ্যমান পটাশিয়াম টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ ও হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পাটশাক অত্যন্ত কার্যকর। তাই প্রতিদিন পাটশাক খেতে চেষ্টা করুন এবং সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

No comments

Powered by Blogger.